লালচে সন্ধ্যা শেষে...
Photo Credit: Joita Humayra |
এতোকাল গল্প শোনানোর জন্য মনের
মতো কাউকে পাওনি বুঝি, তাইতো গল্পগুলো প্রকাশের অপেক্ষায় তুমি খুব ক্ষুধার্থ। তোমার দর্শনে মেঘকে ক্যানভাস করে অনুভূতির প্রলেপে দৃশ্যগুলো
সাজাচ্ছো। তোমার বাইরের মানুষটা কে নিয়ে তোমার ভীষণ রকম কৌতুহল। আমার কাছে যখন জানতে চাইলে
তোমার সম্পর্কে আমার ভাবনাগুলো, তখন আমি তোমার ভেতরের মানুষের অস্তিত্বের গল্পবলি।
তুমি আরো ক্ষুধার্থ হয়ে ওঠো। তোমার বিস্মিত মনের ভেতর একটা ঘোড়া দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, ভেতরের মানুষটা আরো জড়সড় হয়ে বসে থাকে। কৌতুহল মিটাতে চাইনি। তাইতো কোন কথাই
সোজা বাক্যে প্রকাশ করিনি, একের পর এক বিপরীত গল্পের ধারায় তোমার প্রাণপাখিকে মুক্ত করেছি উন্মুক্ত আলিঙ্গনে। কারণ
আমি জানি আমার প্রতিটি বাক্য তোমাকে ভাবায়, তোমাকে ধাঁধায় ফেলে...
বিদায় নেবার সময় এসেছে। আমি কিভাবে জানি আগে-ভাগেই সবকিছু টের পেয়ে যাই এই যেমন, আমাদের আর কখনো দেখা হবেনা। তাই শেষবারের মতো তাকালাম তোমার চোখের দিকে, তোমার ভেতরের মানুষটাকে মন ভরে দেখলাম। অসহ্য অমিলের মাঝে শুধু একটাই মিল খুঁজে পেলাম। তখন আমি আরোও হাহাকার শব্দে পাথর হয়ে গেলাম।
অনুভব করলাম অনেক দূর সীমানায় তুমি খুব দুঃখি। অজান্তেই মায়ার ঘ্রাণে জড়িয়েছো বসন্ত। এই গতিময়তার যাত্রায় আমার বিদায়ের এলার্মটা বেজে উঠলো, ঠিক সেই
মুহূর্তে আমাকে নিয়ে তোমার মূল গল্পবলা শুরু। জানতাম এমনটাই হওয়ার কথা। কিন্তু সেই গল্প শোনার জন্য আমার হাতে
একদমই সময় নেই। অন্তিম জানালায় এক রোদন বাসন্তী হয়ে থাকুক কেউ দৃষ্টির সীমানায়। তাইতো ইচ্ছে করেই নিজেকে মেলে
ধরিনি, আগ্রহ প্রকাশ করিনি। ছায়াপথের লালচে সন্ধ্যা শেষে, সোডিয়াম আলোয় তুমি শূন্যতার ফ্রেমে শান্ত হয়ে রইলে আর আমি ফিরে এলাম শীতলতার নির্যাসে নির্লিপ্ত কাব্য আলাপনে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন